দেওবন্দিদের কাছে মিলাদ শরীফের প্রমান

image

দেওবন্দিদের কাছে
মিলাদ শরীফের
প্রমান

বর্তমানের দেওবন্দীরা যে সত্যিকারের
মুর্খ , পাগল আর বাতিলপন্থী ওহাবী তা
তাদের আকীদাগত কার্যকলাপ আর
পাইকারী ফতুয়াবাজি থেকে সহজেই
অনুধাবন করা যায় | তাদের যদি নুন্যতম
কোরআন হাদিসের জ্ঞান আর তাদের
পূর্বসুরী দেওবন্দীদের কিতাব সম্পর্কে
সামান্য ধারণা থাকতো তাহলে এরা
মিলাদ কিয়ামের বিপক্ষে
পাইকারীভাবে শিরক , বেদাত ও
কুফরের ফতুয়াবাজি করতো না আর
তাদের পূর্বসুরী মুরব্বীদেরকেও কাফের
বানিয়ে বাতিলের খাতায় ফেলতো না
| মিলাদ কিয়ামের পক্ষে দেওবন্দী
আলেমদের কিতাব হতে কিছু দলিল
প্রমান অতি সংক্ষেপে আপনাদের
খেদমতে পেশ করছি আর বর্তমান
দেওবন্দীদের মুখোশ উন্মোচন করছি |
সমস্থ দেওবন্দী আলেমদের দাদা ওস্তাদ
হাজী এম্দাদুল্লাহ মহাজির মক্কী
রহমতুল্লাহি আলাইহি যাকে ছাড়া
দেওবন্দীদের কোনো অস্তিত্ব থাকেনা
সেই উনি উনার ফায়্সালায়ে হাফতে
মাসায়ালা কিতাবের ৫ পৃষ্ঠায় বলেন ,
ﻣﻮﻟﻮﺩ ﺷﺮﻳﻒ ﻛﻮ ﺫﺭﻳﻌﻪ ﺑﺮﻛﻠﺖ ﺳﻤﺠﻪ ﻛﺮ ﻫﺮ ﺳﺎﻝ
ﻣﻨﻌﻘﺪ
ﻛﺮﺗﺎﻫﻮﻥ ﺍﻭﺭﻗﻴﺎﻡ ﻛﮯ ﻭﻗﺖ ﺑﮯ ﺣﺪ ﻟﻄﻒ ﻭﻟﺬﺕ ﭘﺎﺗﺎﻫﻮﯼ
» ফকিরের ( আমার ) মত এই যে , আমি
মৌলুদ শরীফের মাহফিলে শরিক হই |
আর ইহাকে বরকতের কারণ মনে করিয়া
প্রত্যেক বৎসর অনুষ্ঠান করিয়া থাকি
এবং কিয়াম করার সময় খুবই স্বাদ ও
আনন্দ উপভোগ করি |”
হাজী এম্দাদুল্লাহ মহাজির মক্কী
রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার
শামায়েলে এমদাদীয়া কিতাবের ৮
পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন , ” আমাদের অনেক
দেওবন্দী আলেমগনই মিলাদ শরীফের
বিরোধিতা করছে | কিন্তু আমি মিলাদ
কিয়াম শরিফ জায়েজপন্থী আলেমগণের
পক্ষেই গেলাম | যেহেতু মিলাদ
কিয়াম জায়েজ হওয়ার পক্ষে অনেক
দলিলই মজুদ আছে তাহলে কেন এতো
বাড়াবাড়ি | আমাদের জন্য তো মক্কা
মদিনার অনুকরনই যথেষ্ট | আর যদি
রাসুল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিলাদ শরীফের
মাহফিলে হাজির হন এমন বিশ্বাস
রাখা হয় তাতে অসুবিধার কিছু নেই |
অতএব মিলাদের মাহফিলে হুজুর পুর নূর
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের
পক্ষে হাজির হওয়া অসম্ভব নয় |”
দেওবন্দীদের আরেক গুরু ওস্তাদ মালানা
আশরাফ আলী থানবী উনার এমদাদুল
ফতুয়া কিতাবের চতুর্থ খন্ডের ৪২০
পৃষ্ঠায় উল্লেখ করে ” হুজুর পুর নূর
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের
মৌলুদ শরীফের মাহফিল সম্পূর্ণ জায়েজ
ও মুস্তাহাব | হিন্দুস্তানের প্রচলিত
বিদাতের অন্তর্ভুক্ত হবেনা এবং
মিলাদ শরীফের কিয়াম কখনো কুফরী
হবে না |”
থানভী তার তরীকায়ে মিলাদ
কিতাবের ৮ পৃষ্ঠায় আরো উল্লেখ করে
, ” ওই সকল কাজ অর্থাৎ শিরনী বিতরণ
, মিলাদের কিয়াম অবশ্যই ভালো
কাজের অন্তর্ভুক্ত | এতে ক্ষতির কিছুই
নেই এবং মিলাদের কিয়ামের ক্ষেত্রে
কোন নিষেধ থাকতে পারেনা |”
দেওবন্দীদের আরেক নির্ভরযোগ্য আলেম
মালানা সমসুল হক ফরিদপুরী তাসাউফ
তত্ত্ব কিতাবের ৩৫ পৃষ্টা – ৪৭ পৃষ্টা
পর্যন্ত শুধুই মিলাদের অসংখ বাব নিয়ে
এসেছে এবং ৪১ পৃষ্টায় উল্লেখ করে ”
হুজুর পুর নূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামের শানে যে কাসিদা পড়া হয়
তাতে মহব্বত বাড়ে আর ওই মহব্বতের
জোরে যদি কেউ মিলাদের কিয়ামে
দাড়িয়ে যায় তাহলে তাকে বিদাত
বলা যাবেনা | আর হুজুর পুর নূর
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামে
বসে বসে সালাম
দেওয়া হুজুরের শানে বড়ই বেয়াদবী |”
এখন রায় আপনারাই দিবেন কারা
বিদাত
করছে , কারা শিরক করছে আর কাদের
ফতুয়ায়
করা কাফের হচ্ছে ?

Leave a comment